শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের শ্রীবরদীতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ সুমন আহম্মেদকে (২৪) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ একটি চৌকস দল।
গতকাল রবিবার ৩রা জুলাই বিকেলে গাজীপুরের বাসন থানার শহীদ রওশন সড়ক সংলগ্ন এলজিইডি ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুমন জামালপুর সদরের হাজীপুর এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই সে আত্মগোপনে ছিল।
গতকাল রবিবার মধ্যরাতে র্যাবের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়- সুমন আহম্মেদ ও ভিকটিমের মধ্যে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে সুমন ভিকটিমকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গত ১২ই জুন রাত ১টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার খোশালপুর পুটল এলাকার জনৈক আলমগীরের টিনের ঘরে নিয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সুমন আহম্মেদ, জাহিদ ও আকরাম মিলে দলবেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে গত মাসের ২৩শে জুন ভিকটিম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় মামলা করে। মামলার পর পুলিশ পুটল গ্রামের আকরাম(৩৫) ও জাহিদকে(২৪) গ্রেফতার করে। তবে পলাতক থাকে মামলার প্রধান আসামি সুমন আহম্মেদ।
ঘটনার পর থেকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে- আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। অবশেষে গতকাল রবিবার বিকেল ০৪-টার দিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি দল গাজীপুরের বাসন থানার শহীদ রওশন সড়ক সংলগ্ন এলজিইডি ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
ইতোমধ্যেই র্যাবের পক্ষ থেকে অপরাধীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে জানানো হয় যে, দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র-মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র্যাব বদ্ধপরিকর।
এ ছাড়াও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন।